বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনবে সেভেন সিস্টার্স-ভুটান, চায় সৌদিও

ব্যান্ডউইথ
ব্যান্ডউইথ

বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ কিনবে ‘সেভেন সিস্টার্স’খ্যাত ভারতের সাতটি রাজ্য ও ভুটান। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সৌদি আরবও বাংলাদেশের কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম।

এদিন একনেক সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ৬৯৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা খরচে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

একনেকে এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলেছিলেন, এ প্রশ্নের জবাবে শামসুল আলম বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেটের চাহিদা প্রতি বছর ৭০ শতাংশ বাড়ছে। আমাদের একটি সাবমেরিন ২০২৫ সালের পর অকেজো হয়ে যাবে বা মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি এখনই গ্রহণ করায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত খুশি হয়েছেন যে, এমন একটি প্রকল্প যথাসময়ে আনা হয়েছে। এটা দিয়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।’

শামসুল আলম আরও বলেন, ‘আমাদের পূর্বাঞ্চলে যে সেভেন সিস্টার্স রয়েছে, সেখানে কিছু কিছু ব্যান্ডউইথ সার্ভিস আমরা তাদের দিচ্ছি। এটা আমরা দিতে থাকবো। ভুটান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে তারা আমাদের কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনবে। সেক্ষেত্রে আমাদের একটা সুযোগ আছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের। আইসিটির সচিব জানিয়েছেন, সৌদি আরবও ব্যান্ডউইথ আমাদের কাছ থেকে নিতে চাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন তারা কীভাবে নেবে, আমরা মূল লাইন থেকে দেব নাকি কক্সবাজার থেকে? তখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বলেছেন, মূল লাইন থেকে সৌদি আরবকে দিতে পারবো। এটি বোধহয় আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে যে, তারা কীভাবে নেয় বা আমরা কীভাবে দিই। সেভেন সিস্টার্স ও ভুটানের বিষয়টা নিশ্চিত হয়েছে, আমরা তাদের যথাযথভাবে সেবা দেব।’

উল্লেখ্য, ‘ডিজিটাল সংযোগের জন্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ২ হাজার ৫৭৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সংশোধনীতে ৭৪১ কোটি ৫৪ লাখ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩ হাজার ৩১৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সংশোধনীতে মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

এ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য বলেন, ‘এখানে ব্যয় বৃদ্ধি ঘটেছে ২৮ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিটিসিএলকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন যে, দুর্গম এলাকাগুলোতে আরও যাওয়া উচিত। বিল, হাওর, চরাঞ্চল এগুলোও যাতে আমরা কাভারেজে নিয়ে আসতে পারি। এ বিষয়টি দেখার জন্য বিটিসিএলকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।’

সর্বশেষ আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৩০
Desk
এড্যমিন

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও